কবিতা 

গল্পটা রুটির দামে বেচে দিতে পারেন ।। স্বরলিপি

মামলাটি নিন স্যার ব্যস্ত আছেন জানার পরেও অপেক্ষা করছে মাথাপিছু শস্যদানা দাঁত। কেটে খাবে না কথা দিতে রাজি! ভেতরে আসতে বলি?     ভূগোলের রশি ঝুলছে চিন্তার শিশুরা কালো গর্তে খুঁজতে গিয়েছে সবুজ পাথর। ঘড়িতে এগারোটা বেজে আটচল্লিশ মিনিট এ বরাবর কাটা ফুটলে কোন কোন স্মৃতি মনে পড়ে? আজ শরৎ সমস্ত নীলে সরীসৃপের উপস্থিতি অভিমানগুলো বেঁচে আছে যাদের কেবলমাত্র তারা জীবিত!     সুখের দিনের বন্ধু অর্ধেক প্লেট শূন্য দেখে বাকীটা ভরে দিলেন কলমি ফুলে ডাল-ভাত ভরা থালায় লেবু পাতা কচলে দিলেন মাছ, শাক,ভাত খাওয়ার সময় অজুহাত দেখিয়ে চলে গেলেন।…

Read More
কবিতা 

কবির হোসেনের কবিতা

তলপেটের ব্যথা রশি দিয়ে মানুষ বেঁধে রাখা হয় নাকি মানুষ দিয়ে রশি?—তর্ক যেদিকেই গড়াক না কেনো, মানুষ মুক্ত হলে জানি রশিও মুক্ত হয় অথবা রশি মুক্ত হলে মুক্ত হয় মানুষ! আমারও কোথায় যেন প্যাচ লেগে আছে, তলপেটের ব্যথার মতো চিনচিনিয়ে ওঠে। আমাকেও কি বেঁধে রাখা হয়েছে অথবা আমাকে দিয়ে কাউকে? জানি না কোথায় সেই বাঁধন, কোথায়ইবা বাঁধনের যন্ত্রণা! আমি কেবল ব্যথা পাই, কিসের টানে যেন আমার সেন্টার ছিঁড়ে যায়! নাভিতে হাত দিয়ে বুঝি—নিজের সাথেই গিট লেগে থাকা আমি এক আশ্চর্য রশি!   আকাশিগাছের গোড়াপত্তন আকাশকে আগুনে ফুটিয়ে আবিষ্কার করা হয়েছিল—মেঘগুলো…

Read More
কবিতা 

অ্যালিসিয়া এলসবেথ স্টলিংস এর দুইটি কবিতা

১. নরকে অদিসিয়াসের সঙ্গীসাথীরা যদিও আমাদের জন্য সামান্য সেঁকা রুটি অবশিষ্ট ছিলো, নিয়ম ভেঙে সেটুকু খেয়ে ফেলার মত অর্বাচীনতা কেউ দেখায় নি। অ্যাপোলোর একপাল পশু ধীরেসুস্থে চরে বেড়াতো – প্রতিটি ষাঁড় ট্যাঙ্কের মত বিশাল! নিজের নামটা তারার আখরে লিখে দিতে, অর্থাৎ একজন কিংবদন্তী হবার পিছনে পড়ে থাকে চল্লিশটি বছরের যাতনা; একটি প্রাচীরের অর্থহীন অবরোধের ইতিহাস। পৃথিবীর প্রাক্তনভাগে আমরা বেঁচে ছিলাম ক্ষুধায়। ক্রমশ নিজেরাই নিজেদের গতিরোধ করতে করতে একসময় আমাদের পতন শুরু হলো; এইসব উপত্যকার বুকে। সেই মুহুর্তে আবিষ্কার করলাম – আমরা নিজেরা কতটা অর্বাচীন; ক্ষুধার প্রেরণায় কতটা ক্রুদ্ধ!   মূলঃ…

Read More
কবিতা 

রিচার্ড সিকেন এর “স্ট্র হাউস, স্ট্র ডগ”

খড়ের ঘর, খড়ের কুকুর অনুবাদঃ জয়ন্ত বিশ্বাস (১) টিভি দেখায় মগ্ন ছিলাম। বারে বসে দু’ঢোঁক কোক গিলে ফেললাম। নিরবচ্ছিন্ন চার-চারটা স্বপ্ন দেখলাম। সেখানে তুমি জ্বলছিলে; তুমি জ্বলতে যাচ্ছিলে; এখনও তোমার শরীর ঘিরে রেখেছে আগুনের শিখা। টিভি দেখায় মগ্ন ছিলাম। চারটা কোক গিলে ফেললাম। নিরবচ্ছিন্ন চার-চারটা স্বপ্ন দেখলাম।   খড়ের ঘরে বসে তুমি তোমার খড়ের কুকুরটাকে খাইয়ে দিচ্ছিলে। বস্তুত তুমি ভুল ঘরে ছিলে; ভুল কুকুরকে খাইয়ে দিচ্ছিলে। আমি বরফ মিশিয়ে কোক গিলে ফেললাম। টিভিতে চার-চারটা স্বপ্ন দেখলাম। তোমার হাসি শীতল, বড় শীতল। তুমি পুড়ে ছারখার হয়ে গেলে; তুমি পুড়ে ছারখার হতে…

Read More
কবিতা 

ফরহাদ নাইয়ার ০৫টি কবিতা

০১ আমার মাথা থেকে উড়ে গেছে একটি ফরিং তাকে আটকাতে গিয়ে চারদিক ঘাস হয়ে আছে সেরকম ঘাসের পিঠে শুয়ে ভাবছি গরুর কথা কে কার জীবন নিয়ে যায়… বহুকাল বেঁচে থেকে আমিতো একটি মশাও মারতে পারিনি অথচ হুলের ভেতর দিয়ে এতদুর মরণ আসে আমি তাকে ফেরাতে পারিনা হাত ধরে বাড়ি নিয়ে যাই … ০২ হলোনা কিছুই বলে হয়েছে যা তাকি বাতাসের চেয়েও হালকা? আমার মনের থেকে ভারী কোন কিছু টেনে তুলিনি আজো।এর থেকেও হৃদয় পড়ে গেছে চোখের গভীরে, আজ আর টেনে তোলা যাচ্ছেনা জল। তুমি বরং এই শরীর নিয়ে যাও সূর্য…

Read More
কবিতা 

নিখিল নওশাদের ৫টি কবিতা

একখান কাঁঠালচুরি গ্রাম এ রাষ্ট্র আমার। আদিবৃক্ষের দাগ লাগা বুকে এখনো সিঁধেলচোর থ্রিল, ‘কান্ধার’ বিল থেকে ছুটে আসে তাম্বুলখানা; কৈশোরের কোন্ কোণে এখনো প্রেমের ছবি, কাব্য-জসীম। এদেহ জোনাকসম জ্বলে, পুরনো আড়ার তলে নানীদের কঙ্কাল নেচে নেচে ঘুমিয়ে জাগায় সেই সুর… আবেশে এসে শেষে বিপরীত বাংকারে শিশির-শরীর ধরে জমে যায় সুনিপুণ ট্যুর, বেহেস্তি ঘাম! যে কাম নিশি তোলে ধানের আওয়াজ বাজে শেষরাতে মিটিমিটি শিখা দেয় বধূর বিষম ঢেউ-দিল্। প্রতিটি মধ্যরাতে প্রিয়জন কেঁদে ওঠে বিদেহী বাতায় বসে বিল, ‘কান্ধার বিল’… যে গাছে বাদুড় ওড়ে পৃথিবীর ফলাফল সেই দিকে হেলে গেলে ছয় পায়ে…

Read More
কবিতা 

রক্তিম রাজিবের ৫টি বয়ান

দ্যাখ, কেবল তাকিয়ে থাকলেই কি হয় জ্ঞানজ্ঞানভাব নিয়ে আলোর বিস্তার করা যায় না। বিষয়টা নীল কিংবা পাংশু করা মুখ নিয়ে কারো দালানে প্রবেশে অগ্রাধিকার পাবার মত। পাওয়া থেকে যেমন আকাঙ্খার শুরু তেমনি পাওয়ার বলতে দুনিয়ায় হেডমদারের অঙ্গবিশেষ। যদিও বিশেষ বিশেষ আলোচনায় পরিত্যক্ত কয়েদিরা মুক্তাকাশের দাবী করতেই পারে। সেক্ষেত্রে বিল পাশ না হলেও আমরা এখানে মোরালভাবের গুরুত্বটাকে বুঝতে চেষ্টা করি। আর আক্ষেপন নিরূপনের দিকে না গেলে মাতাল ঝংলা থেকে খসে পড়ে যায় দুদণ্ডী বেহালা। সেটা কাত্তিক কিংবা পোষ হবার কথা না। এখন পর্যন্ত যতগুলি অক্ষরকে ছাড়া হয়েছে তাদের সকলেই ঝরে পড়েছে…

Read More
কবিতা 

মাহমুদ সিফাতের ৫টি কবিতা

  খড়া এই অনুর্বর মগজ থেকে মুছে রেখে যাও তোমার নাম   অথবা, শান দাও কোদালে; আমাকে খুঁড়ে বের করে আনো জল ভেজাও প্রেমে ওড়াও প্রেমের বেঢপ রঙিন ঘুড়ি।   তুমিও ভিজো, ডুবে থাকো আকণ্ঠ আমার ভেতরে ঘটুক তোমার আমৃত্যু নিমজ্জন।      এবং শরৎ আমার আয়নায় ভেসেছে শরৎ, লেগেছে দূরবিস্তৃত নীল তবু সাদা মেঘ ভেসে ভেসে আসে অযাচিত আলাপন ঝড়ের মতো ক্ষুধায় ভেঙে পড়ছে উদর মিথ্যে ছাড়া খাদ্য বলে কিছুই নেই   ফোটেনি ফুল বাগানে আমার আকাশে ওঠেনি চাঁদ ঝিঙেফুলের মাচা ভেঙে কে গড়েছে প্রাসাদ   স্কেচবুকে মারা যায়…

Read More
কবিতা 

বায়েজিদ বোস্তামীর ৫টি কবিতা

ঘোড়ারে আমার নিশিতে পায় নগরীর চারিদিকে পরিখা নাই দেওয়ালের সুরক্ষা দিতে ফটক ভেঙে শত্রু ঢোকে না কোনও আমিই শত্রু তাঁবুর দিকে ছুটে যাই বেকুব ঘোড়ারে আমার নিশিতে পায় এমনকি দিনেদুপুরেও ওহে, বেকুব ঘোড়াটি আমার নগর দেওয়ালের ওপারে কী আছে এমন? কী আছে শত্রু তাঁবুতে? কী সুস্বাদু ঘাস-ছোলা-নুন?   আমি যে মরি না তাই আমার মরে যাওয়া দরকার অথচ মরিবার মুরোদটি নাই এহেন দশায়, আমারে, বুচ্ছেন বিবিধ মশকারি নিয়া বেঁচে থাকা লাগে জীবনে ঘটে যাওয়া, ঘটমান ও ঘটিতব্য- কান্না মশকারি কাম মশকারি প্রেম মশকারি আমি যে মরি না তাই এই মশকারি…

Read More
কবিতা 

সোহরাব ইফরানের ৫টি কবিতা

  ঘোড়াটি শুধু আড়াই গর্জায় মৃত বলে কোন ছদ্মনাম নেই দাবার ঘরে বসা যায় এমন সব পুরুষ—ঘোড়া—কিস্তি অর্বাচীন হতে ভালবাসে তোমার আঙুলের পাশে এ মেদুর সভ্যতা—দাবাঘরে কোন রাণী থাকে না আঙুল থেকে নেমে আসে যুদ্ধগুলো সরে পড়তে হয় দাঁড়াতে হয় সরে পড়তে হয় দাঁড়াতে হয় রক্ত নেই ধোঁয়া নেই শব্দ নেই সাদাকালো একটি রণক্ষেত্র   বৃক্ষদের আত্মহত্যা প্রবণতা নিয়ে ডাকনামে ডাকো অথচ শুনতে পাই না—বহুদিন বধির যেন এই পলি; ঢেউগুলো এখানে এসে শুকিয়ে যায়—প্রবাহ থেমে গেলে কেউ আর দেখে না—শুধু হেঁটে আসে পিঁপড়ে আর পিঁপড়ে; বাঁক বদল করতে করতে নরসুন্ধা গিলে…

Read More