সা র শু’র তিনটি কবিতা
১.
স্মৃতিগুলা হইয়া উঠুক
একটা সাজানো গোছানো ফটো অ্যালবাম।
অথবা মনে করো, সিন্দুকে তুইলা রাখা
কিছু পুরাতন চিঠির খাম।
মন চাইলে খুইলা নাইড়া চাইড়া দেখলাম।
কোন বিচার নাই, কোন সংযোগ নাই।
যা আছে যেমন, তেমনই।
বাতাস যেমন নির্বিচারে হাত বুলায় গাছের পাতায়,
কিংবা ঝরনা যেমনে গড়ায়ে যায় পাথরে পাথরে।
তেমনে এক একনিষ্ঠ দর্শক হইয়া,
দেখতাম তাগোরে।
তারপর ইচ্ছা করলেই,
আবার তুইলা রাখতাম, যত্নে।
যেমন আছে তেমন।
অ্যাজ ইট ইজ।
(আগস্ট ২, ২০ || মধুপুর)
২.
যারা আমাদেরকে বিশ্বাস করিয়েছিলো আমাদেরকে ভালবাসা বড় কঠিন।
যারা আমাদেরকে বলেছিল বারংবার, আমাদের সংস্পর্শ খুব যন্ত্রণাময়।
যাদের আচরণে আমরা মেনে নিয়েছিলাম, ভালবাসার মোড়কে অবেহেলাই আমাদের প্রাপ্য।
যাদের চাহনিতে একথা স্পষ্ট ছিল, ক্ষুধার্ত আমরা কেবলই করুণার পাত্র।
যারা আমাদেরকে দেখিয়েছিল, তাদের প্রতি ভক্তিই আমাদের মুক্তির একমাত্র পথ।
যারা আমাদের শিখিয়েছিল, সত্য? তা একরকমই হয়, তারাই সত্য-মত।
যাদের পিছুপিছু হাঁটতে গিয়ে আমরা নিজেদেরকে হারিয়েছি বারবার,
যাদেরকে ভালবেসে আমরা ভেবেছি, আমাদেরকে ভালবাসতে না জানি কত কারণ দরকার।
তারাও ভালবাসতে শিখুক।
(জুলাই ১৫, ২০ || মধুপুর)
৩.
অনেককাল আগে এক ফালি মেঘ,আইসা বইছিলো এই পাহাড়ের বুকে।
তার থিকাই আমার জন্ম।
তারপর একদিন মেঘ উইড়া চইলা গেলো।
রাইখা গেলো আমারে।
পাহাড়ের বুক বাইয়া বাইয়া
আমি প্রতিদিন নাইমা যাই।
পাহাড় আমারে কয়,
আমি কোনদিন পাহাড় হইতে পারুম না।
আমি কিছু কই না, চুপচাপ বইয়া চলি।
পাহাড়ের দৃষ্টি যেইখানে শেষ হইয়া যায়,
সেইখানে আমি নদী হই,
পাহাড়ের কল্পনা যেইখানে থাইমা যায়,
সেইখানে আমি হই সাগর।
পাহাড় যখন তারা গোনে,
আমি তখন বাষ্প হই।
পাহাড় যখন আসমান দেখে,
তখন আমি হই মেঘ।
পাহাড় আমারে কয়,
আমি কোনদিন পাহাড় হইতে পারুম না।
আমি পাহাড়ের বুকে আমারে জন্ম দিয়া চইলা যাই।
(জুলাই ১২, ২০|| মধুপুর)