আলাপচারিতা কবিতা গদ্য বিশ্বসাহিত্য 

জিম মরিসন এর “প্রস্তাবনা” এবং কয়েকটি কবিতা ।। ভাষান্তর: কায়েস সৈয়দ

আমি মনে করি সাক্ষাৎকার হলো শিল্পের নতুন একটি কাঠামো। আমি মনে করি আত্ম-সাক্ষাৎকার হলো সৃজনশীলতার নির্যাস। নিজেকে নিজে প্রশ্ন করা আর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা। লেখক অব্যক্ত প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন।   এটা কাঠগড়ায় প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মতো। এটা সেই অদ্ভুত ক্ষেত্র যেখানে তুমি চেষ্টা করো আর অতীতে ঘটে যাওয়া কিছুকে সেঁটে রাখো আর তুমি যা করার চেষ্টা করছিলে তা মনে রাখার জন্য একান্তভাবে চেষ্টা করো। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মানসিক অনুশীলন। একটা সাক্ষাৎকার তোমাকে প্রায়শই তোমার মনের প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়ার সুযোগ করে দেয়— যা আসলে আমার কাছে শিল্পই। একটা সাক্ষাৎকার তোমাকে…

Read More
কবিতা 

কয়েকটি কবিতা ।। জেরী চন্দ

  বিহান   ১. হাজার চিঠি চিৎকার পাঠানো হয়েছে উপত্যকার শিশুদের কথা ভেবে ঈশ্বর মৃদু হেসেছেন ঘুমের ঘোরে- সেদিন থেকে ঈশ্বরকে ঈর্ষা করেছে উপত্যকার শিশুরা   ২. রোদমাখা চেহারা নিয়ে জন্ম নিয়েছে এইচআইভি পসিটিভ শিশু বড়দিনের ভোরে- ক্রুশবিদ্ধ পায়ে হিমশীতল কালো রক্ত, আর দেখা যাচ্ছে না এবারে আমি সব অভিজ্ঞতা জলাঞ্জলি দিয়ে একটি খাদে নেমে যাবো   ৩. হাঁসের মাংস পুড়াচ্ছে কতগুলি উপজাতি বালক আমার কোনো বাড়ি নেই আর থাকলেও- সেখানে আমাকে আর থাকতে দেওয়া হবে না আমি অচেনা মানুষ অপূর্ব অজস্র অচেনা মানুষের সঙ্গে বসে ভাত খেয়েছি বহুবার!  …

Read More
কবিতা 

হিম ঋতব্রত এর কবিতা ।। সপ্তমী দাশ

সপ্তমী দাশ – ০৭ তোমার ভেতরে আহা এত স্নিগ্ধ শান্তি, মুগ্ধতা!  এত নরম হৃদয় তোমার!    আমি ক্ষত্রিয় হয়েও— তীর ছুঁড়তে পারি না  নীরব সন্ন্যাসে চলে যাই!     সপ্তমী দাশ – ০৮ এ— কী গান গাও তুমি সপ্তমী দাশ আমাকে কোন মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাও স্বর্গসুরে ভাসিয়ে ভাসিয়ে নিয়ে যাও কোন নরকে!    জ্বলতে জ্বলতে পুড়তে পুড়তে জেগে উঠি! এ কেমন উপহার— শাস্তি— শান্তি?  নরকের ভেতর স্বর্গ— স্বর্গের ভেতর পৃথিবী— পৃথিবীর ভেতর নরক…   এ কোন গান গাও তুমি সপ্তমী দাশ!  আমাকে কোন জন্মের দিকে নিয়ে যাও!  ক্রমেই জন্মের…

Read More
কবিতা 

মিজানুর রহমান রুবেলের কবিতা

মুহূর্ত রসুইঘরে, হঠাৎ দুধের পেয়ালা অসাবধানে উল্টে গেলে তুমি তুলে আনো- শিমুল কাঁটার ছায়ায় নতমুখে দাড়িয়ে থাকা অন্ধকারে আমার একলা অতীত, আমার আজন্ম কৃতঘ্ন স্মৃতি- কেবল আমার মায়ের শ্বেত স্তনযুগল। পিতার দেয়া রূপোর পুরোনো বালা জোড়া হাতে নিয়ে যে মা অবহেলায় একা একা গিয়েছে মরে আমার এক প্রাচুর্যের সকালে।। তোমারে মনে রাখি আমি ডানায় দুরন্ত জীবনের অন্ধ ভায়োলিন বাজিয়ে মূহুর্তের ব্যবধানে তুমি উড়তে উড়তে মেঘের সীমানা পেরিয়ে গিয়েছো অবলীলায়; চেনা দিগন্তের সরল জ্যামিতি তুমি চীড়ে দিয়েছো সহস্রবার- ধারালো নখের আঘাতে। অথচ, দেখো- কালো মেঘের মতন আদিম এক ব্যামোর অভিশাপে একদিন…

Read More
কবিতা 

এ্যালেইনা হোসেনের কবিতা

ফেইট অফ দ্যা ফ্যানাটিক প্রেমিকার মুক্তমনের সাথে ঘষা খেয়ে উঠে গেলো জীবনের ছাল   ফার্মেসী ব্যবসায়ে টান লাগা–      চোখ     মাথানত                                  ওষ্ঠ যাদুভেষজে আর                   দেয় না অঙ্গীকার   কোনো ওষুধ নেই                  মলম নেই  ব্যান্ডেজ নেই                      প্রতিকার নেই                 জীবনের ছাল নেই!   মামলা চললো       …

Read More
কবিতা 

আরাফাত মাহমুদের তিনটি কবিতা

জীবনমাত্রা আমাদের অমিত্রাক্ষর প্রেমের স্বরব্যঞ্জনা সুখে ঘুচিয়ে দিবো অমরাফুলের দুঃখ। তারপর ফিরে যাবো মুক্তছন্দ প্রেমে— আমাদের সূচনাসুখে। প্রেমবানে সারিয়ে তুলবো রাষ্ট্রীয় বিমার, দূরস্থ দেহে বাজাবো পঞ্চানন্দের সুর। আর অস্থির সময়ে লিখবো উর্জস্বী প্রেম অথবা ঘরহীন সংসার। গারদ এণ্ড ব্রাদার্স প্রেমে ও মসনদে, আদরে ও খুনে, গারদ এক আশ্চর্যতম উৎযাপন— গারদ মূলত ঝুলে থাকে ক্ষমতার অলিন্দে। গারদহীন পৃথিবীতে ক্ষমতা মিথ্যা ও ফিকে। পাখির দাঁত মানুষ কখনো পাখি হতে চায় না তারা চায় তাদেরও থাকুক দুটি কার্যকর পাখা

Read More
কবিতা 

নাদিয়া জান্নাতের তিনটি কবিতা

বেদনা দীর্ঘজীবী হইতেছে যেহেতু…. আধমরা শালিকরে বুকে পুষে বড় আরাম পাইতেছি। ঝিলিক দিয়া রোদ আসতেছে। সেই রোদে শালিকের জন্যে ধান ছিটাইতেছি শালিকটা নাচতে নাচতে বুকের ভেতর আসতেছে, কিন্তু কোন ধান খাইতেছে না। আমি অবশ্য জোরাজুরি করতেছি— সে শুনতেছে না। সে কেবল নাচতেছে আর নাচতেছে— আমার হঠাৎ করেই মনে হইলো এটা তো অঘ্রাণ মাস। ধানকাটা হয়ে গেছে। এখানে সেখানে মাঠে— ঘাটে ধান শুকানোর বেলা এখন। আধমরা শালিকটার আর ধানের অভাব নাই। তবুও, ধানের লোভে পাখিটা যে আসতেছে, বুকের ভেতর এইটা ভেবে প্রচুর আনন্দ পাইতেছি আমি   আমলনামা তোমারে যে দুনিয়ায় রেখে…

Read More
কবিতা 

সা র শু’র তিনটি কবিতা

১. স্মৃতিগুলা হইয়া উঠুক একটা সাজানো গোছানো ফটো অ্যালবাম। অথবা মনে করো, সিন্দুকে তুইলা রাখা কিছু পুরাতন চিঠির খাম। মন চাইলে খুইলা নাইড়া চাইড়া দেখলাম। কোন বিচার নাই, কোন সংযোগ নাই। যা আছে যেমন, তেমনই। বাতাস যেমন নির্বিচারে হাত বুলায় গাছের পাতায়, কিংবা ঝরনা যেমনে গড়ায়ে যায় পাথরে পাথরে। তেমনে এক একনিষ্ঠ দর্শক হইয়া, দেখতাম তাগোরে। তারপর ইচ্ছা করলেই, আবার তুইলা রাখতাম, যত্নে। যেমন আছে তেমন। অ্যাজ ইট ইজ।  (আগস্ট ২, ২০ || মধুপুর)

Read More
কবিতা 

মৃত্যু স্মৃতি নিয়ে চা-আলাপ ।। চাঁদনী মাহরুবা

চোখেরবালি ২য় পত্র পৃথিবীর পুরাতন যীশু কাল ধরে, কোন এক জেসাস হেঁটে চলেছে কোথাও! ধুলো লীন চোখেমুখে, লেগে আছে সহস্র সফরনামা। ক্রুশের কিছু ব্যথা কুয়াশায় ঝরে গেছে চুপচাপ। পবিত্র খেজুরফল ফুটছে শীতের শেষে। সুদীর্ঘ পথ জুড়ে তার, কেউ পড়ে চলেছে বিষন্ন বাইবেল। ♦ যাত্রা অশুভ রাশিফলের ভেতর ঝরছে অজস্র যাত্রাপথ। নিরেট রাস্তায় সাইসাই করে ছুটছে অশুভচিহ্ন। বাড়ি ফেরার কাছেই উবে গেছে আয়ুরেখা। একধারে বরফের মতো জমাট রক্ত। পোড়া হাড়-মাংস আর মবিলের ঘ্রাণ উপ্রে চলে যাচ্ছে শ্রুত গন্তব্য…. বাস, ট্রাম অথবা সময়কাল। হে মহামতি, এবার তবে যাত্রাবিরতি নিন। শুনুন,পা হারাবার দুক্ষ…

Read More
কবিতা 

হাজং ভাষাগোষ্ঠীর কবি ও কবিতা

হাজং সাহিত্যের পাতায় বড় অংশ জুড়ে কবিতা দখল করে আছে। হাজং কবিরা তাদের কবিতাগুলোর মধ্যে নিজস্ব শিল্প সংস্কৃতির কথা, প্রাকৃতিক নানা বিষয়, সামাজিক অবস্থা, দেশপ্রেম, প্রণয়ের কথা, নানা উৎসবের কথাই বেশির ভাগ প্রকাশ করে থাকে। হাজং সম্প্রদায়ের তিনজন কবি ও তাদের কবিতা এবার পাঠ করা যাক।   হরিদাস হাজং এর কবিতা– কবি হরিদাস হাজং এর কবিতাগুলো পাঠ করলে দেখা যাবে যে, তিনি স্মৃতিকাতর হয়ে কখনো বন্ধুকে তার শৈশবে ফিরিয়ে নিতে চাইছেন। আবার খুবই গর্বের সাথে হাজং হবার কথা, নিজের জাতিসত্তা হারিয়ে না ফেলার কথাও উল্লেখ করেছেন। হুমাস ও হুমাস মুলা…

Read More