শৈবাল নূরের কবিতা
রূপকল্প
আর ঘুমোবো না বলে—
তোমার নিখিলমনের চোরাগোপ্তা গলিতে রাত্রিপ্রহরী হয়ে ঘুরছি
আর ঘুমোবো না বলে —
ন্যুড সোসাইটির ছিলগালা থেকে, প্রতীকী জালিয়াতির ব্যালোটনীতি থেকে, তোমার চোখের ডার্কনেসের পরিচর্চা হয়ে উঠতে চাইছি
নিদ্রা ধ্যানের গুপ্ত সহোদর, পুষ্পাঙ্খা—
তোমার তন্দ্রা যাবার কালে
আমি টুকরো টুকরো স্বপ্ন হয়ে ভেঙে পড়ি
সমস্ত মর্মপিঙ্গলায়, করকমলে—
শরীরজ
বাড়ির উঠানে নীলকন্ঠ ফুলগাছ
কোমরের মতো সুডৌল
বাঁকা ধনুকের ডালে ফুটে আছে
অগনিত যোনিপুষ্প
পরাগায়নের মোহে শিশ্নমৌমাছি
নীল হয়ে যায়, মাছরাঙা কুশলতায়
পাপড়ি স্থিরতা ঝরে পড়ে বাউলগানে, আদিমমুদ্রায়
না ফেরা
বাড়িতে কোথাও মন খারাপ থাকে
যেভাবে
নীলকন্ঠফুল হাওয়ায় মেলেছে বেদনার তুরুপ জিভ
অন্দরে
পরিযায়ী পাখির মতো কে ফেরে
ডানা? না প্রত্যয় ?
অন্ধ শৈশব থেকে
আর কত অপ্রকাশিত থাকবো সবুজে, রক্তক্ষরণে —
উচ্চ মাধ্যমিক
ঝুম বৃষ্টির মাঝে সাঁকোতে দাঁড়িয়ে একা কি ভাবছো —
নদীতে বৃষ্টি পড়তেই স্মৃতিরা কেমন ঝিরঝিরে হয়ে গেলো
নীলিমা —একাই ডেকে চলেছে, কেঁদে চলেছে
তখন তো কলেজে পড়ি
অভিমানে তুমি পেরিয়ে গেলে একান্ত সাঁকো, নদীর ঝিরঝির
অপাঠ্য
দৃশ্যমান কোন জন্মদিন নেই আমার,
আবহমানকাল ঘুরছি জঠরে জঠরে
কোথাও বা
মেয়েদের উড়ন্ত চুলে, গ্রাফিতির দেয়ালে,
পথশিশুর হাতে হাওয়াই মিঠাইয়ে
জন্ম নিচ্ছি, সময়
কোন জন্মদিন নেই আমার,
তবু কার জন্ম হচ্ছে দৈবনিয়মে
শস্যে, আদিগন্ত সবুজ চিৎকারে, মেশিনে?
একটা বিপ্লবী চিন্তায় ঠিক জন্ম নিব আমি, দেখো!