কবিতা 

রক্তিম রাজিবের ৫টি বয়ান

দ্যাখ, কেবল তাকিয়ে থাকলেই কি হয়

জ্ঞানজ্ঞানভাব নিয়ে আলোর বিস্তার করা যায় না। বিষয়টা নীল কিংবা পাংশু করা মুখ নিয়ে কারো দালানে প্রবেশে অগ্রাধিকার পাবার মত। পাওয়া থেকে যেমন আকাঙ্খার শুরু তেমনি পাওয়ার বলতে দুনিয়ায় হেডমদারের অঙ্গবিশেষ। যদিও বিশেষ বিশেষ আলোচনায় পরিত্যক্ত কয়েদিরা মুক্তাকাশের দাবী করতেই পারে। সেক্ষেত্রে বিল পাশ না হলেও আমরা এখানে মোরালভাবের গুরুত্বটাকে বুঝতে চেষ্টা করি। আর আক্ষেপন নিরূপনের দিকে না গেলে মাতাল ঝংলা থেকে খসে পড়ে যায় দুদণ্ডী বেহালা। সেটা কাত্তিক কিংবা পোষ হবার কথা না। এখন পর্যন্ত যতগুলি অক্ষরকে ছাড়া হয়েছে তাদের সকলেই ঝরে পড়েছে তাদের নিজস্ব মাঠে। অন্যদিকে গজানো মানসিকতায় গ্যাজানো হয়েছে তাত্ত্বিক বিশুদ্ধতা। আখ্রোডের সীমানা পাড় হওয়া মাত্রই একটা ভাবের উদয় হয়, দর্শনজাতিয়। সূচনাগত দিক থেকে অঞ্চলের প্রতি কদর থাকে যাদের বেশি তাদেরই কিনা আজ বড় ভয় গজের উন্মাদনা। অথচ একদিন যুদ্ধ ছাড়াই হেরে গিয়েছিল কোন এক বিশ্বমানব। মগ্ন থেকেই বলছি, সাদাসিধে গোষ্ঠীরা যখন থেকে বিলাতি হাইফেনের ব্যবহার করতে আরম্ভ করল সেখানেই একটি ইতিহাসের অবনতি শুরু। এমতাবস্থায় খিদায় সিধা হয়ে শুয়ে থাকা ছায়া ঐ জাতির অন্য কোন উপায় থাকে না। অথচ বিশেষীকরণ হচ্ছে সেই দিনের ধারনা, যার উজ্জল দৃষ্টান্ত ভূমিনীদের গোত্রে গোত্রেই অন্তর্নিহিত। যদিও গোত্র কেবল বঞ্চনা শিখিয়েছে আর শ্রমের উদ্বৃত্তকে লক্ষ্য। বিপ্লব হচ্ছে শতকের নাভি যেখানে নাচের কসরত থেকে মুদ্রার কচকচটাই বেশি।
উনিশ, বিশ, একুশ… আমাদের প্রস্তুতি হিসেবে খারাপ না।

 

মুরিদ হওয়াটাই বাজারের অংশ

কারো বিখ্যাত জীবন না থাকলেও মৃত্যুকে ঠিকই বিখ্যাত করে তোলা যায়। কেননা অসুরের দল প্রেমবাদ শিখে ফেললেও ভক্ষণনীতি থেকে সরে আসতে পারে না। নির্ধারন পদ্ধতি সম্পর্কে জানা হলেই কেবল অনুশোচনা হয় এই বাঞ্চোতবাহিনীর। কয়ালের দেশে আসতে শুরু করা সুরতি ফকির দেখে হিরণবালাও এসে যায় তার মৌমাছিদের খোঁজে। কার্তিক থেকে কোলকাতা বার্ষিকী পেয়ে চুপসে যায় ঢাকা। অথচ আমরা শত্রুদেরকে মানতে থাকি পীর, ক্ষমার পাশাপাশি। সরকারি মন যেহেতু খোদার সমান তখন রূপচাচারও ইচ্ছে হয় আরশি দালানের গন্ধম মাখার। এদিকে আমরা হই পরিনত, সভ্য হতে হতে সভ্যতায় আর আচমকা পতনরোধে খুঁজে রাখি নিজস্ব সকলের অদ্ভুত সব জন্মদিন। তবে মাথায় রাখা উচিত, যা মাথায় তোলা যায় তা দিয়ে মাথা ফাটানোও যায়। ওস্তাদের সাথে যেহেতু ওস্তাদি করা যায় না তাই আমাদের করা উচিত বেইমানি। সবার তো হাতপাখা থাকেনা আর আমাদের বাস্তবতাও পল্টি খায় বিভিন্ন পক্ষের অনুমতি সাপক্ষে। এতো সব কারনের পরে আমাদেরকে মেনে নিতেই হয়, কেবল নিজে ঠিক হলেই হয় না মশাই আশপাশগুলাকেও ঠিক রাখা লাগে।

 

ন্যাড়া বেলতলায় একবার গেলেও টাকলারা যায় বারবার

কৌশল্য আর কৌটিল্যের মধ্যকার বিভেদ থেকে যারা স্বত্ত্বাধিকারে বঞ্চিত তারাই অন্তরক্ষয়ীর মর্ম বোঝে। আতপি জ্ঞানবলে তাদেরকে বলা হয় প্রশ্নকর্তা। যেহেতু ব্যকরণসিদ্ধ মতবাদ থেকে প্রথম বাচকের উৎপত্তি তাই আমাদের গাঁয়ের ধন উহ্যই থাকে উপুড় হয়ে। পোড়া হাতে গন্ধ থাকে ভীষণ তাই যে সীমায় আমরা এতোটা বান্ধবত্ব দেখি তাতে যথাযুক্ত কোন মালিকানা নেই আমাদের। কেবল খণ্ডকালিন বাণিজ্যাভাব উদয়ের ফলে অনেককিছুতেই অধিকারের সৃষ্টি হয়। আর তখন থেকে প্রাপ্তি বিষয়ের ব্যষ্টিকত্বের আরম্ভ। অথচ আঁকরদোষে সময়টা আজ আটপৌরে। বিচ্ছিন্ন স্বভাবের মত আমাদের কঞ্চিগুলোও ক্ষীণ। বলতে পারাটা স্বাধীনতার কিন্তু জোর খাটাতে যারা অক্ষম তারা মূলত মশলাদারিত্বে বিজ্ঞ। স্বভাব বিবেচনায় আমদানি করা যায় আইটেম সুলতানা আর আমরাই বোধয় ধীর লয়ের গান বাজারে ছেড়ে থাকি প্রচুর। প্রকৃতপক্ষে পক্ষ একধরনের পক্ষচূত্যির কারন। স্বত্বজ্ঞান যখন প্রলম্বিত হয়ে যায় আমাদের আঁজলায় পূর্ণ হয় উত্তরাধুনিক ভাবাবেগ।

 

হালখাতার বায়েস্কোপ

যাদের কোন অর্থমূল্য নেই তাদের ডাকনাম দিচ্ছি আমরা অলসতা। আমরা সকলেই জানি পিছনের কারিগরেরা স্বাস্থ্য কী জিনিস তাই বোঝে না, তাই তাদের কাছে এর অর্থই বা থাকবে কী করে কিংবা এসংক্রান্ত নীতির আলোচনাই বা কী করবে? তারা যে উপার্জন রেখার বাইরে। এদেরকে ঘিরে কেবল একপেশে তর্ক হতে পারে কথার আঙ্গিকে, যার ভাঁজগুলো প্রকাশ করে যাবে খঞ্জরাবেগ। কিন্তু বৈশাখী ঝড় মানেই যে শিলার রাত তা তো আর না, কারো জন্য এটা হয়ত শৈশব।
আদমচূড়া আদৌ অক্ষরজ্ঞানীদের কাছে কোনো তাৎপর্য বহন করে কী? যদিও যেকোনো তাৎপর্যের শংসাপত্র প্রদানীরা আমাদেরকে ভাগ করে নিয়েছেন সেই চায়ের কাপেই। এখন তারা কেবল আমাদের কাছ থেকে এসংক্রান্ত রসদ নিয়ে নিজের ল্যাভেল লাগিয়ে পরিবেশন করছে তাদের জাত ভাইদের কাছে। এজন্য আমরা কি কেবল একজনকেই গালি দিতে পারি? যেহেতু সবাইকে আর আমরা ভুলিশ বলতে পারি না, পারি নাকি? তবে, হতে পারে এদের সবার প্রভু হয়ত একজনই আর তার বসত অন্তত এই অঞ্চলে না। এটা ভিন্ন কথা যে খোদারা মানুষ হবার ফন্দি আঁটতে আটঁতে শেষ পর্যন্ত নিখোঁজ হয়ে রইল অথবা মানুষকে ভগবান হতে নিষেধ করে দিয়ে মানুষ বানানোই বন্ধ করে দিল। তাই আগে থেকেই স্বীকার করে নিচ্ছি যে, ইতিহাস হল একটি নদীর নাম, যার পাড়েরা আসলে কথা কয়। এটা বাস্তব, কী কথা? তবে নদীবাস্তব সভ্যতায় আমাদেরকে খাদ্য নিয়ে কখনও ভাবতে হয়নি তাই আমাদের জীবনের গল্পগুলোকে আমরা তুলে রাখতে পারি ফুরসতে, মাফ করবেন যারা কাজই করে না তাদের জীবনে আবার কিসের অবসর?
এক টুকরা মাংস আগুনের থেকে সূর্যের তাপে ঝলসানো অনেক বেশি কাজের কারন এখানে আগুন চিন্তাটাই যে অলসের…

 

ইতিহাস একটি নদীর নাম

আমার ইতিহাস জুড়ে যাদরেকে আমি রাজা ভবেে ঈশ্বররূপে সমীহ করে আসছি- আপনার কাছে সেই হয়তো ক্রুশবদ্ধি, আপনসত্ত্বার হত্যাকারী। নাম, হলে হতেও পারে শয়তান। তবে জানা থাকুক আপনার সত্যরে থাকে দশ রকমরে দিগন্তজোড়া মাথা, জাগতিকভাবইে একদল করে আরকেদলরে বিরোধিতা। সবাই চায় সালামাত থাকুক গদি তার আপন, আধিপত্যের বাহানা নিয়ে একটু না হয় হোক, ওপর আর নিচ। দূরের বস্তু স্বর্গীয় হলেও কাছে আসতে আসতে লাগতে থাকে বিস্বাদ। আবার কাছের গুলোকে মনে হয় যনে আয়াত, অন্যগুলো তো হাওয়াই। এখন যদি আপনি নিজেকে ভেবে থাকেন নিরেট আর পদ্ম বলতে বুঝে থাকেন কেবলই ফুল! মহাশয় তবে জানা থাকুক, চোগলখুরিতার যে বন্ধুটি ছিলো মেয়ে, এতদিনে কিন্তু হয়ে গছেে সে গোটা দশেক এই আলোতে- ভূমিষ্ঠ, এবং…

Related posts